রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি সংবাদদাতা: ছাত্রীকে ফেসবুকে নিজের নগ্ন ছবি পাঠিয়ে বিপাকে পড়েছেন ঝালকাঠি সরকারী হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানায়, গত ১১ মে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফেসবুকে জীববিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম তার নগ্ন ছবি পাঠান। এরপর ওই শিক্ষার্থী তাৎক্ষণিকভাবে ছবিটি কয়েকজন শিক্ষকের কাছে ফরোয়ার্ড করেন। বিষয়টি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ মো. ফরিদকে জানানো হলে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কাছে শাস্তিমূলক বদলির সুপারিশ করেছে। অভিভাবকদের মাঝে এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ মো. ফরিদ বলেন, আমি শিক্ষকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি।এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের আরো অভিযোগ ছিলো, কিন্তু পূর্বের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ সাহা তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সে এ ধরনের ঘটনা ঘটাবার আবারো সাহস পেয়েছে।
কয়েকজন অভিভাবক ও শিক্ষকরা জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ ও যৌন হয়রানির মৌখিক অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাকেও তিনি কিছুদিন পূর্বে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিম ঘটনা আড়াল করতে তার ফেইসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার কথা জানিয়ে ওই দিনই ঝালকাঠি সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন ১২ মে নিজেকে নির্দোষ ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে দাবি করে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বরাবরে একটি আবেদন করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, আমি বিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও কোন্দলের শিকার। কয়েকজন শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে এ নগ্ন ছবি পাঠানো হয়েছে। তাহলে আপনার বাসার দৃশ্যের সাথে ছবি দৃশ্যের মিল হলো কিভাবে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।
Leave a Reply